সভাপতি মহোদয়ের বাণী

দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অs আমীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৫ সালে একাডেমিক স্বীকতি পেয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে আসছে। বয়ােজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে জানা যায়, এই বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালেরও প্রায় এক যুগ পর্বে মাদরাসা / হাই-মাদ্রাসা হিসাবে পরিচালিত হতাে। সময়ের প্রবাহে নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমানে দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বিদ্যালয়টিতে ডাবল শিফটে (প্রভাতী শাখায় ছাত্রী ও দিবা শাখায় ছাত্র) ৩য় শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানাে হয়। বিদ্যালয়টির দুইটি বৃহৎ দ্বিতল ভবন যাহা পর্যায়ক্রমে ফ্যাসিলিটিস্ ডিপার্টমেন্ট ও বিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত। বিদ্যালয়টিতে নবম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা এবং সময়ের প্রয়ােজনে পেশা ভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষাবাের্ডের অধীনে এস.এস.সি. ভােকেশনাল কোর্সের সিভিল কন্ট্রাকশন ও কম্পিউটার শাখা চালু রয়েছে। তাছাড়া ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত উভয় শিফটে ক, খ শাখা চালু রয়েছে। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তােলার লক্ষ্যে বিদ্যালয়টিতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপিত হয়েছে, যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ১৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে শুভ উদ্বোধন করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ১১৫০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত। দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, অভিজ্ঞ শিক্ষক / শিক্ষিকাগণের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি সার্বিক উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। জাতীয় দিবসগুলাে যথাযােগ্য মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। উক্ত দিবসগুলাের বিভিন্ন প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্য অর্জন করে। বিদ্যালয়টির পরিবেশ কোলাহলমুক্ত ও মনােরম। প্রশাসনসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহযােগিতা পেলে অত্র বিদ্যালয়টি শহরের একটি শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিশ্বজিত কুমার ঘোষ
সভাপতি
দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দিনাজপুর।

শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা / অভিভাবকবৃন্দ

আসসালামু আলাইকুম ॥ এই “দৈনিক পাঠের বিবরণীর” মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আপনার সন্তানের প্রতিদিনের লেখাপড়ার ক্রমােন্নতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তাই আপনার সন্তানের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিদিন এই “দৈনিক পাঠের বিবরণী” দেখার এবং লেখাপড়া সংক্রান্ত আপনার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করার অনুরােধ করছি। শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা/অভিভাবকগণকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, “আপনি আপনার সন্তানের সর্বপ্রথম ও সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষক এবং আপনার গৃহটি হচ্ছে আপনার সন্তানের সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।” তাই আপনার সন্তানের সাফল্য আমাদের সকলের সম্বিত প্রচেষ্টারই ফল। আমরা পিতা-মাতা / অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে যােগাযােগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। এ কারণে শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা, পরামর্শ নিয়ে স্কুলে এসে যােগাযােগ করতে দ্বিধাবােধ করবেন না। আসুন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রতিষ্ঠানকে সত্যিকারের মানুষ গড়ার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে

ধন্যবাদান্তে –
মােঃ নেজামুল ইসলাম
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দিনাজপুর।

শপথ

আমি শপথ করছি যে, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়ােজিত সভা দেশের প্রতি অনুগত থাকব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকব। হে প্রভু! আমাকে শক্তি দাও, আমি যেন বাংলাদেশে দেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসে পারি। আমিন।।

স্কুল ডেস

মেয়ে : নেভী ব্লু রঙয়ের কামিজ, সাদা শেলােয়ার, নেভী ব্লু স্কার্ফ, বেল্ট, সােল্ডার ব্যাজ, সাদা মােজা, সাদা কেডস্, খয়েরী সােয়েটার (শীতকালীন)।
ছেলে : সাদা শার্ট, কালাে প্যান্ট, সােল্ডার ব্যাজ, সাদা মােজা, সাদা কেডস, | খয়েরী সােয়েটার (শীতকালীন)।

শিক্ষার্থীদের প্রতি

  • পরম করুণাময় স্রষ্টাকে স্মরণ করে সকল কার্যক্রম শুরু করবে।
  • মাতা-পিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বড়দের এবং উপরের ক্লাসের ছাত্রদের প্রতি সালাম ও সম্মান এবং উপরের ক্লাসের ছাত্ররা নিচের ক্লাসের ছাত্রদের স্নেহ প্রদর্শন করবে।
  • সৎ চিন্তা করবে, সৎ পথে চলবে, সত্য কথা বলবে, অন্যায়কে ঘৃণা করবে, অন্যায় প্রতিহত করতে চেষ্টা করবে।
  • স্কুল ইউনিফর্ম পরিধান করে নিয়মিত স্কুলে আসবে। ৭৫% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
  • জাতীয় সংগীত, শপথ বাক্য, সূরা ফাতিহা (হিন্দু শিক্ষার্থীদের জন্য গীতার শ্লোক) শুদ্ধরূপে আয়ত্ব করবে।
  • যথা সময়ে প্রারম্ভিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে এবং সেখান থেকে সারিবদ্ধভাবে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করবে।
  • স্কুল বসার পূর্বে স্কুল প্রাঙ্গনের কোথাও খেলাধুলা করবে না এবং খেলার কোনাে সরঞ্জাম নিয়ে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করবে না ।
  • ঘন্টা বাজার পর ৫ মিনিটের মধ্যে কোনাে শিক্ষক / শিক্ষিকা শ্রেণি কক্ষে না আসলে | শ্রেণি ক্যাপ্টেন সহকারী প্রধান শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে জানাবে।
  • শ্রেণি কক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত রাখবে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু, কাগজ প্রভৃতি ফেলে পরিবেশ দূষিত করবে না।
  • স্কুলের দেয়ালে, দরজায়, জানালায় ও ডেস্কে কোনাে কিছু লিখবে না ।
  • টিফিন পিরিয়ডের পর ঘন্টা বাজার সাথে সাথে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করবে।
  • এক শ্রেণির ছাত্র অন্য শ্রেণিতে কোনাে অবস্থাতেই প্রবেশ করবে না।
  • বহিরাগত বন্ধু-বান্ধব, ভাই-বােনকে নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করবে না।
  • শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ধর্মের বিধান মেনে চলবে এবং অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
  • নিয়মিত পড়া শিখে আসবে এবং বাড়ির কাজ করে আনবে।
  • প্রতি পিরিয়ডে শিক্ষক / শিক্ষিকাগণ যে পাঠদান করবেন তা সংক্ষিপ্ত ভাবে দৈনিক পাঠের বিবরণীতে লিপিবদ্ধ করবে।
  • বিদ্যালয়ের প্রতিটি পরীক্ষায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে।
  • কোন কারণে বিদ্যালয়ে না আসলে পরবর্তী উপস্থিতির দিন উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আভভাবকের স্বাক্ষর নিয়ে শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের বরাবরে আবেদন করতে হবে। অন্যথায় প্রতি ১ দিন অনুপস্থিতির জন্য ২০/- টাকা জরিমানা হবে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দের প্রতি জ্ঞাতব্য

  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাঠে পাঠ দান দিবসের ৭৫% বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে এবং বিদ্যালয়ের বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি প্রত্যেক মাসের ১২ ও ২৬ তারিখে বিদ্যালয়ে অবস্থানরত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি / কর্মকর্তার নিকট অথবা সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে পরিশােধ করতে হবে। অন্যথায় প্রতি মাসের জন্য ১০/- টাকা বিলম্ব ফিসহ পরবর্তী মাসের বেতন আদায়ের তারিখে একই সাথে পরিশােধ করতে হবে । উল্লেখ্য, মাসিক বেতনের তারিখে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে পরবর্তী কার্য দিবস বেতনের তারিখ বলে গণ্য হবে।
  • প্রধান শিক্ষকের পূর্বানুমতি ব্যতিত কোন শিক্ষার্থী পরপর ৩ (তিন) মাসের বেতন পরিশােধে ব্যর্থ হলে অথবা ১ (এক) মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে হাজিরা খাতা থেকে নাম কাটা যাবে। পরবর্তীতে হাজিরা খাতায় নাম উত্তোলন করতে হলে ২০০/ টাকা পুনঃ ভর্তি ফিসহ প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন করতে হবে।
  • হাজিরা খাতায় নাম কাটা থাকাকালীন উক্ত শিক্ষার্থী অনুপস্থিত বলে গণ্য হবে।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার পূর্বে নির্দেশিত মাস পর্যন্ত বেতন ও পাওনা পরিশােধ করতে হবে। অন্যথায় অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
  • বিদ্যালয় হতে প্রশংসা পত্র ছাড়পত্র গ্রহণ করলে অবশ্যই সমুদয় পাওনা পরিশােধ করতে হবে।
  • কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পােশাক ব্যতিরেকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • প্রাত্যহিক সমাবেশের পূর্বেই সকল শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে (নিজ নিজ শিফটে) প্রবেশ করতে হবে। অন্যথায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
  • কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ত্যাগ করতে পারবে না।
  • মােবাইল ফোন, ক্যামেরা, স্বর্ণালংকার, এয়ারফোন, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, প্রয়ােজনের অতিরিক্ত টাকা (বিদ্যালয়ের বেতন, পাওনাদি ও যানবাহন ভাড়া বাদে) কোন শিক্ষার্থী সঙ্গে আনতে পারবে না।
  • ম্যাসেজ এর মাধ্যমে যােগাযােগের জন্য অভিভাবকগণকে তাদের সচল মােবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে খাওয়ার উচ্ছিষ্ট অংশ এবং অপ্রয়ােজনীয় কাগজ-কলম বিদ্যালয়ের যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় / ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে বিদ্যালয়ে আসতে হবে।
  • বিদ্যালয় চলাকালীন ক্লাস ক্যাপ্টেন অথবা বিষয় শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া একই সময়ে | একই শ্রেণি থেকে একজনের বেশী শিক্ষার্থী শ্রেণি কক্ষের বাইরে যেতে পারবে না।
  • কোন শিক্ষার্থীর অসদাচরণের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
  • বিদ্যালয়ের সকল নিয়ম-কানুন প্রত্যেক শিক্ষার্থী মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
  • বিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় সি.সি. ক্যামেরা দ্বারা। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ এর ব্যবস্থা।
  • ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এস.বি.এ. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সাপ্তাহিক শ্রেণি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষাবর্ষের অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ব্যতিত ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণির কোন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে ফেল করলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না।
  • সকল পরীক্ষার প্রগতি পত্র / ফলাফল প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকের নিকট প্রদান করা হবে এবং প্রগতি পত্রে অভিভাবকের স্বাক্ষর করে বিতরণের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে শ্রেণি শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে।
  • প্রগতি পত্র হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট প্রগতি পত্র পেতে ৩০/- টাকা জমা করে আবেদন করতে হবে।
  • কোন শিক্ষার্থী একই শ্রেণিতে পর পর দু'বছর অকৃতকার্য হলে সে অত্র বিদ্যালয়ে পড়ার সুযােগ পাবে না।
  • যে কোন শিক্ষার্থীর পাশ ফেলের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
  • কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় নকল করলে বা নকলের কোন আলামতসহ ধরা পড়লে পরবর্তীতে ঐ সাময়িকের কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না ।
  • কোন শিক্ষার্থী অনিবার্য কারণে স্কুলের নির্ধারিত ড্রেস পরিধানে ব্যর্থ হলে প্রধান শিক্ষক / সহকারী প্রধান শিক্ষক / শরীরচর্চা শিক্ষক / শ্রেণি শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে শ্রেণি কক্ষে বসতে হবে।
  • প্রত্যেক ছাত্র তার চুল ও নখ ছােট রাখবে এবং প্রত্যেক ছাত্রী নখ ছােট রাখবে ও চুল দুই বেনী করে বেঁধে আসবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত রুচি সম্পন্ন হতে হবে।
  • যে কোন ধরণের ছুটির প্রয়ােজনে পিতা / অভিভাবকগণ কারণ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীর। মাধ্যমে তাঁদের স্বাক্ষরিত আবেদন দিতে হবে। তবে বিদ্যালয়ে আসার পর হঠাৎ ছুটির দরকার হলে শ্রেণি শিক্ষকের সুপারিশসহ প্রধান শিক্ষক বরাবরে আবেদন করতে হবে।।
  • নিজ ভাই / বােন বা নিকট আত্মীয়ের বিয়েতে ১ (এক) দিনের বেশি ছুটি পাবে না। বেশি দিনের ছুটি পেতে হলে প্রধান শিক্ষকের পূর্বানুমতি লাগবে।
  • কঠিন রােগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে সুস্থ হলে চিকিৎসকের প্রত্যয়ন পত্রসহ পিতা / অভিভাবককে আবেদন করতে হবে এবং অসুস্থতার সংবাদ যথাশীঘ্র বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেকে জানাতে হবে।।
  • কোন শিক্ষার্থী ৩ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবক নিজে এসে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে ছুটি মঞ্জুর করাতে হবে।
  • স্কুল পালানাে শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে শ্রেণি কক্ষে বসতে পারবে, তবে স্কুল পালানাের জন্য তাকে ১০০০/- টাকা জরিমানা প্রদান করতে হবে।
  • প্রত্যেক পিতা / অভিভাবকে অত্র বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সন্তানের নিয়মিত লেখাপত প্রতি সচেতন থাকতে হবে এবং বাড়ীতে গড়ে কমপক্ষে ৫/৬ ঘন্টা মনোযােগসহ পড়াতে হবে।
  • যে কোন শিক্ষার্থীর অবাধ্যতা, পাঠে অনীহা, অনিয়মিত উপস্থিতি, অশোভন ইশকুল বা সার্বিক উন্নতির পরিপন্থী কোন আচরণ লক্ষ্য করা গেলে তাকে ছাড়পত্র ও দেওয়া হবে। .
  • কোন শিক্ষাথী ইচ্ছাকৃত ভাবে বা উশৃখলতা বশতঃ বিদ্যালয়ের কোন সম্পদ নষ্ট করলে তার ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে সাময়িক ভাবে বিরত রাখা হবে।
  • কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে কোন প্রকার আপত্তিকর বই, পুস্তিকা বা নত আনতে বা সাথে রাখতে পারবে না।
  • বিদ্যালয়ের নির্ধারিত দৈনিক সমাবেশ, শারীরিক অনুশীলন, আতঃ শ্রেণি খেলা, বিভিন্ন সহপাঠ ক্রমিক কার্যক্রম ও জাতীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক।
  • বিদ্যালয়ে বা বিদ্যালয়ের বাইরে অনুষ্ঠিত যে কোন অনুষ্ঠান | অনুশীলন বা অতঃ প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতে হবে।
  • বিদ্যালয়ের স্কাউট দল / গার্ল গাইড / বি.এন.সি.সি. ভুক্ত শিক্ষার্থীকে তার যাবতীয় কর্মকান্ডে ও সভায় নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে। অন্যথায় নিয়মানুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।
  • সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে প্রয়ােজনে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, বক্তৃতা, আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাংকন ইত্যাদি প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণে অভিভাবকগণ উৎসাহিত করবে।
  • কোন শিক্ষার্থী ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রােগে আক্রান্ত হলে রােগ আরােগ্য না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে আসবে না। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান শিক্ষক / সহকারী প্রধান শিক্ষককে জানাতে হবে।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই নিজ নিজ জিনিসের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। অসাবধানতা বশতঃ কোন কিছু হারালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী হবে না।
  • অসাবধানতার কারণে বিদ্যালয়ে বা বিদ্যালয়ে যাতায়াত সময়ে পথে কোন দুর্ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ছাত্রী উপবৃত্তি প্রাপ্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে মাসিক বেতন দিয়ে পড়তে হবে ।
  • শিক্ষার্থীর কল্যাণে যে কোন সমস্যা সমাধানে প্রত্যেক পিতা / মাতা / অভিভাবক স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রয়ােজনমত যে কোন শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক এর সাথে মত বিনিময় / মুক্ত আলােচনার সুযােগ পাবে।
  • চিঠি / মোবাইল ফোন / ম্যাসেজ এর মাধ্যমে অভিভাবকগণকে ডাকা হলে বিদ্যালয়ে আসতে হবে। উপরােক্ত নীতিমালায় যা অন্তর্ভুক্ত হয়নি, সে ক্ষেত্রে সমুদয় কর্মকান্ডে প্রধান শিক্ষক এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
  • প্রধান শিক্ষক