দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অs আমীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৫ সালে একাডেমিক স্বীকতি পেয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে আসছে। বয়ােজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে জানা যায়,
এই বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালেরও প্রায় এক যুগ পর্বে মাদরাসা / হাই-মাদ্রাসা হিসাবে পরিচালিত হতাে।
সময়ের প্রবাহে নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমানে দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বিদ্যালয়টিতে ডাবল শিফটে (প্রভাতী শাখায় ছাত্রী ও দিবা শাখায় ছাত্র) ৩য় শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানাে হয়।
বিদ্যালয়টির দুইটি বৃহৎ দ্বিতল ভবন যাহা পর্যায়ক্রমে ফ্যাসিলিটিস্ ডিপার্টমেন্ট ও বিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত। বিদ্যালয়টিতে নবম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা এবং সময়ের প্রয়ােজনে পেশা ভিত্তিক দক্ষতা
অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষাবাের্ডের অধীনে এস.এস.সি. ভােকেশনাল কোর্সের সিভিল কন্ট্রাকশন ও কম্পিউটার শাখা চালু রয়েছে। তাছাড়া ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত উভয় শিফটে ক, খ শাখা চালু রয়েছে। তথ্য ও
যােগাযােগ প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তােলার লক্ষ্যে বিদ্যালয়টিতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপিত হয়েছে, যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ১৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে শুভ উদ্বোধন
করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ১১৫০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত। দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, অভিজ্ঞ শিক্ষক / শিক্ষিকাগণের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি সার্বিক উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। জাতীয় দিবসগুলাে যথাযােগ্য মর্যাদার
সাথে পালন করা হয়। উক্ত দিবসগুলাের বিভিন্ন প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্য অর্জন করে। বিদ্যালয়টির পরিবেশ কোলাহলমুক্ত ও মনােরম। প্রশাসনসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহযােগিতা পেলে অত্র বিদ্যালয়টি
শহরের একটি শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
বিশ্বজিত কুমার ঘোষ
সভাপতি
দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দিনাজপুর।
আসসালামু আলাইকুম ॥ এই “দৈনিক পাঠের বিবরণীর” মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আপনার সন্তানের প্রতিদিনের লেখাপড়ার ক্রমােন্নতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তাই আপনার সন্তানের শিক্ষার মান
উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিদিন এই “দৈনিক পাঠের বিবরণী” দেখার এবং লেখাপড়া সংক্রান্ত আপনার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করার অনুরােধ করছি।
শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা/অভিভাবকগণকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, “আপনি আপনার সন্তানের সর্বপ্রথম ও সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষক এবং আপনার গৃহটি হচ্ছে
আপনার সন্তানের সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।” তাই আপনার সন্তানের সাফল্য আমাদের সকলের সম্বিত প্রচেষ্টারই ফল। আমরা পিতা-মাতা / অভিভাবক
ও শিক্ষকদের মধ্যে যােগাযােগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। এ কারণে শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা, পরামর্শ নিয়ে স্কুলে এসে যােগাযােগ করতে
দ্বিধাবােধ করবেন না। আসুন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রতিষ্ঠানকে সত্যিকারের মানুষ গড়ার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে
ধন্যবাদান্তে –
মােঃ নেজামুল ইসলাম
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দিনাজপুর।
আমি শপথ করছি যে, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়ােজিত সভা দেশের প্রতি অনুগত থাকব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকব।
হে প্রভু! আমাকে শক্তি দাও, আমি যেন বাংলাদেশে
দেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসে পারি। আমিন।।